Freelanching Earning 5000৳ Dollar || Fiverr upwork

  


ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং

আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আজকের পোস্ট এ আপনারা যানতে পারবেন-কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং করে ইনকাম করা সম্ভব। তো চলুন শুরু করা যাক-

কর্মসংস্থান

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রধানতম হাতিয়ার হচ্ছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। এই প্রযুক্তিসমূহ কর্মসংস্থানের বিশাল বাজার উন্মুক্ত করেছে। তথ্য প্রযুক্তির কারণে চাইলে এখন ঘরে বসেই অনলাইনে প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ বা বিজ্ঞপ্তি পাওয়া, ব্যাপক তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সমূহ কে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা এমন কি ঘরে বসে কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রধানতম হাতিয়ার হচ্ছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। এই প্রযুক্তিসমূহ কর্মসংস্থানের বিশাল বাজার উন্মুক্ত করেছে। তথ্য প্রযুক্তির কারণে চাইলে এখন ঘরে বসেই অনলাইনে প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ বা বিজ্ঞপ্তি পাওয়া, ব্যাপক তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সমূহ কে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা এমন কি ঘরে বসে কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলোর বিকাশে সহায়ক হয়ে উঠেছে। 

১. ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং।

২. উদ্যোক্তা উন্নয়ন।
৩. অনলাইন মাধ্যমে চাকরির সুযোগ।
৪. ইউটিউবিং।


১. ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-

প্রচলিত ব্যবস্থায় কোন কর্মীকে স্বশরীরে কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করতে হয়। কিন্তু ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন বিশ্বের যে কোন দেশের যে কোনো কর্মী অন্য যেকোনো দেশের কর্মদা তার কাজ ঘরে বসেই করতে পারেন এবং তার কাজের পেমেন্ট অনলাইনে গ্রহণ করতে পারেন। ফুলটাইম বাপ্পার টাইম যে কোন ধরনের হাজার-হাজার কাজ রয়েছে অনলাইনে। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ার এবং ওয়ার্কারগণ একই প্লাটফর্মে উপনীত হয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ারগণ তাদের কাজগুলো সস্তায় অন্য দেশের কর্মীদের মাধ্যমে অনলাইনে করিয়ে নিচ্ছেন।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসের হাজার হাজার কাছ থেকে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনো কাজ খুঁজে নেওয়া ও সেটি সম্পাদন করার পর বায়ারের কাছ থেকে তার পেমেন্ট গ্রহণ করার মাধ্যমে যে উন্মুক্ত পেশা বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে আউটসোর্সিং বলে।

এর মাধ্যমে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশে আসছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি বিকাশের সাথে সাথে আমেরিকা-ইউরোপ কিংবা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রসেসিংয়ের। যার ফলে উন্নয়নশীল দেশ সমূহ আইসিটি এনাবল্ড সার্ভিস কে কাজে লাগিয়ে অর্জন করছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন নয়, এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত বেকার দক্ষ জনগোষ্ঠীর।

আউটসোসিং সংশ্লিষ্ট অপর জনপ্রিয় শব্দটি হল ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান অধীনে নাক থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। ফ্রিল্যান্সিং যারা করেন এ ধরনের পেশাজীবীকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার (Freelancher)। ফ্রিল্যান্সাররা চাকরিজীবীদের মত বেতনভুক্ত নয় বরং কাজ ও চুক্তির উপর নির্ভর করে তাদের আয়ের পরিমাণ কম বা অনেক বেশি হতে পারে। তবে এ পেশায় স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছেমতো--ইনকামের সুযোগ আছে। আধুনিক যুগে বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে ফলে ফ্রিল্যান্সারগণ ঘরে বসে তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী এবং অনেক চাকরিজীবী এই পেশায় আসছেন।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এখন একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। আউটসোর্সিং শিল্পকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশে শিক্ষিত বিরাট জনগোষ্ঠী এখন অর্থ উপার্জন করতে পারছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর আউটসোর্সিং হতে কয়েক মিলিয়ন

ডলার আয় করে। শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর অনেকেই এ শিল্পকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। উন্নত বিশ্বের
মতো বাংলাদেশেও অনেকে এ খাতে বিনিয়োগ করছেন। ফলে বহু লোক সম্পৃক্ত হচ্ছে বিভিন্ন কাজে, সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। গ্লোবাল আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেস বা জব শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে— ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, বিল্যান্সার, ফাইভার ইত্যাদি। আউটসোর্সিং বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কপি রাইটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)

গুগল অ্যাডসেন্স, ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্স, রিসার্চ এন্ড সার্ভে, আর্টিক্যাল-ব্লগ রাইটিং, বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসা, সেবা ইত্যাদি।

তবে আউটসোর্সিং পেশাটি স্থায়ী এবং সামাজিকভাবে এখনও স্বীকৃত নয়। এখানে কাজ পাওয়ার ওপর অর্থ উপার্জন নির্ভর
করে। ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো আপাতদৃষ্টিতে আকর্ষণীয় মনে হলেও পরিবার বিচ্ছিন্নতা তথা ভিন্নধর্মী জীবন যাপন এ কাজের বড় ধরনের একটি নেতিবাচক দিক। আউটসোর্সিং এর সকল কাজ যেহেতু অনলাইন-নির্ভর তাই নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট কানেকশন এর জন্য আবশ্যক। কিন্তু বাংলাদেশে এমন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া দুরূহ। এছাড়াও অনলাইন
মার্কেট প্লেসে নানা ফ্রডিং ও স্প্যামিং-এর যন্ত্রণা এড়িয়ে যথাযোগ্য কাজ পাওয়া যেমন কঠিন তার চেয়েও কঠিন সেই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পারিশ্রমিক পাওয়া। সর্বোপরি রাত জেগে কাজ করা, দক্ষতা অনুযায়ী কাজ না পাওয়া, কাজের যোগান দিতে বাধ্য হওয়া-জনিত মানসিক চাপ, সরবরাহকৃত কাজের যথাযথভাবে মূল্যায়ন না হওয়া বা পারিশ্রমিক পরিশোধের ক্ষেত্রে নানাবিধ জটিলতার কারণে অনেকেই এ ধরনের কাজে নিরুৎসাহিত বোধ করে থাকেন।




ফ্রিল্যান্সার ডট কম (freelancer.com) : এটি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য নির্ভরযোগ্য একটি ওয়েব

সাইট তথা ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেস। ২০০৯ সালে সাইটটি যাত্রা শুরু করে। এখানে যে কেউ তার নিজের যোগ্যতা অনুসারে প্রোফাইল তৈরি করে অনলাইনের বায়ারদের পোস্টকৃত বিভিন্ন কাজের জন্য রিডের মাধ্যমে বিভিন্ন আউটসোর্সিং এর কাজ পেতেপারে। এখানে কাজের জন্য অসংখ্য ক্যাটাগরি রয়েছে এবং এর পেমেন্ট সিস্টেমও যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য। বাংলাদেশের আউটসোর্সিং এর কাজে নিয়োজিতদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট প্লেস। এই কোম্পানির সদর দপ্তর হলো অস্ট্রেলিয়ার নিউসাইথ ওয়েলসের সিডনি শহরে এবং এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন ম্যাট ব্যারি।

আপওয়ার্ক ডট কম (upwork.com): অনলাইনে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের আরেকটি ওয়েব সাইট বা অনলাইন

মার্কেট প্লেস। এর পূর্ব নাম ছিল ওডেস্ক যা নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে upworks.com নামটি গ্রহণ করেছে। এই অনলাইন ওয়ার্ক প্লেসটি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। অন্যান্য অনলাইন মার্কেট প্লেসের মতোই এখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের প্রোফাইল এবং
রিডের ভিত্তিতে কাজ পেতে পারে। এদের পেমেন্ট সিস্টেম বেশ নিরাপদ তবে এখানে ঘণ্টাভিত্তিক কাজে অর্থের নিশ্চয়তা বেশি পাওয়া যায়। সাইটটি গ্রিক পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখন দাপটের সঙ্গে অনলাইন মার্কেট প্লেসে তাদের
আধিপত্য বজায় রেখেছে।

বিল্যান্সার ডট কম (belancer.com): এটি বাংলাদেশি একটি বিডভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখান থেকে সহজেই বিড করার

মাধ্যমে দেশীয় বিভিন্ন এমপ্লয়ারের নিকট থেকে কাজ পাওয়া সম্ভব। বিল্যান্সার মূলত শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের দিকে। আইসিটি
প্রতিমন্ত্রি জুনাইদ আহমদ পলকের আগ্রহ ও সরকারি সহযোগিতায় সাইটটি ডেভেলপ করা হয়েছে। এর উদ্যোক্তা হচ্ছেন মো: শফিউল আলম । অর্থ উত্তোলনের জন্য বিল্যান্সারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এসএসএল অয়্যারলেস লিমিটেড।

ফাইভার ডট কম (fiverr.com) : ফাইভার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি অনলাইন মার্কেট প্লেস। ২০১০ সালে ইসরাইলের একটি
কোম্পানী এটি প্রতিষ্ঠা করে। ফাইবার হলো এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে যে কোনো কাজকে বিক্রয়ের জন্য আপলোড করা
যায়। ফাইভারে কোনো কিছু বিক্রি করতে হলে তার বিষয়ে একটি একটি গিগ (Gig) তৈরি করতে হবে। বিক্রির জন্য ফাইভারে
যে কোনো কাজের মূল্য হলো ৫ ডলার। কাজটি বিক্রয় হলে এ থেকে এক ডলার ফাইভার কেটে নেবে। ফলে কর্মী পাবেন ৪ ডলার।

এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) : এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে, অন্য কারো কোন প্রোডাক্টকে কমিশনের বিনিময়ে

বিক্রয় করে দেয়া বা লিড (Lead) পাইয়ে দেয়া। বর্তমানে এধরনের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আছে যারা ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট এফিলিয়েট মার্কেটারদের প্রমোশনের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রয় করার সুযোগ দিয়ে থাকে। Amazon হচ্ছে বর্তমান
সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন কেনাকাটার মাধ্যম। তাদের বিভিন্ন পণ্য কোনো থার্ডপার্টির মাধ্যমে বিক্রয় করে দেয়াই হচ্ছে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের কাজ। এছাড়াও ClickBank, CPAEmpire, Share-A-Sale, Commision Junction ইত্যাদি ই-কমার্স
সাইট এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্স (Google Adsence) : গুগল এ্যাডসেন্স হচ্ছে ওয়েব পাবলিশারগণের জন্য একটি দ্রুত ও সহজ প্রক্রিয়া যার

মাধ্যমে তারা যেকোনো সাইজের বিজ্ঞাপন তাদের কনটেন্ট পেইজসমূহে প্রদর্শন করতে পারেন এবং এর বিনিময়ে অর্থ উপার্জন
করতে পারেন। প্রতিটি ক্লিক বা নির্দিষ্টসংখ্যক ইউজার কর্তৃক ঐ এ্যাডগুলো নির্দিষ্টসংখ্যক বার প্রদর্শিত হওয়ার বিনিময়ে গুগল উক্ত
ওয়েব পাবলিশারকে অর্থ প্রদান করে; যার পরিমাণ কয়েক সেন্ট হতে কয়েক ডলার পর্যন্ত হতে পারে। ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ, জনপ্রিয় এবং কার্যকর প্রক্রিয়া হলো ‘গুগল অ্যাডসেন্স'।

উদ্যোক্তা উন্নয়ন : 

সাম্প্রতিক সময়ে পেশা নির্বাচনে আমাদের দেশে এক ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। চাকরি
করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে নিজে কিছু একটা করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠছে তরুণ সমাজ। দেশের সরকারি-
বেসরকারি সব মহলের কথা ও কাজে উদ্যোক্তা সৃষ্টির তৎপরতা লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে। উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমেই
সর্বাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব। আর এক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ অনেক নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। সফল উদ্যোক্তা
উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের তথ্য উপাত্ত যা এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসেই পাওয়া
যাচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১০ সালে সরকার ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়ন সেবাকেন্দ্রে ডিজিটাল সেন্টার চালু করে।
এখানে একজন পুরুষ ও একজন নারী উদ্যোক্তা কাজ করেন। ২০১৫ সালে সরকার একই সেবা উপশহর ও শহর এলাকায়
সম্প্রসারণ করে। ফলে শিক্ষিত বেকারগণ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন
সেবা পেয়ে নিজেদের সৃজনশীল উদ্যোগ বা ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বিকাশ, মোবিক্যাশ, কিউক্যাশ
প্রভৃতির সাহায্যে দেশের যে কোনো স্থানে দ্রুত অর্থ আদান প্রদানে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে ক্ষুদ্র উদ্যোগের মাধ্যমে
‘উবার’ কিংবা ‘পাঠাও’-এর মতো ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো ।
কর্মসংস্থানের বহুমুখী ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হয়েছে। আবার যান পরিবহনের ক্ষেত্রে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান করে দিয়েছে (উবার) কিংবা (পঠাও) এর মত ব্যবসায়ীক উদ্যোগগুলো।

উবার (Uber) : 

উবার (Uber) হলো মোবাইল স্মার্টফোনের অ্যাপ-ভিত্তিক ট্যাক্সি সেবার নেটওয়ার্ক। আমেরিকাভিত্তিক অনলাইন পরিবহন নেটওয়ার্ক কোম্পানি উবারের কোন নিজস্ব ট্যাক্সি নেই। উবারের কিছু নির্ণায়ক যোগ্যতা পূরণ করে ব্যক্তিগত গাড়ি আছে।


এমন যে কোন ব্যক্তিই উবার টিমের সাথে যুক্ত হতে পারেন। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একজন চালক ও যাত্রী নিজেদের মধ্যে
যোগাযোগ করে নিতে পারেন। উবারের ফ্রি অ্যাপটির মাধ্যমে একজন যাত্রী নিজের অবস্থান জানিয়ে একটি ট্যাক্সি ডেকে আনতে
পারেন। ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় বিশ্বখ্যাত অ্যাপ-ভিত্তিক ট্যাক্সি সেবা নেটওয়ার্ক উবারের কার্যক্রম শুরু হয়।

পাঠাও (Pathao) : পাঠাও বাংলাদেশি পরিবহন ও রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী একটি কোম্পানি। এর সদর দপ্তর ঢাকার বনানীতে

অবস্থিত। এটি মূলত বাংলাদেশের প্রধান ৩টি শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে তাদের রাইড শেয়ারিং সেবা দিয়ে থাকে। এটি রাইড শেয়ারিং সেবার পাশাপাশি ই-কমার্স, কুরিয়ার ও খাদ্য সরবরাহ সেবাও দিয়ে যাচ্ছে। পাঠাও বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে নেপালেও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মৃত ফাহিম সালেহ, হুসেন ইলিয়াস এবং শিফাত আদনান কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ আলিবাবা গ্রুপের দারাজ ও রকেট ইন্টারনেটের অংশ হিসেবে তাদের ই-কমার্স সেবা প্রদান শুরু করে ।
সালে ডেলিভারি সেবাদানকারী হিসেবে মোটর সাইকেল ও বাই সাইকেলের মাধ্যমে পাঠাও তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তারা
সূত্র : উইকিপিডিয়া

অনলাইন মাধ্যমে চাকরির সুযোগঃ

অফিসে অফিসে ঘুরে চাকরি খোঁজার দিন বাংলাদেশে ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। কেননা এখন ইন্টারনেট মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতাদের সম্মেলন ঘটানো যায়। এধরনের বিভিন্ন অনলাইন জব পোর্টাল হলোঃ

www.bdjobs.com

www.ajkerchakri.com

www.chakri.com

www.everjobs.com

এসব ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সব রকম এর চাকরির বিজ্ঞপ্তি গোপনীয়তা বজায় রেখে অনলাইনে।

চাকরির জন্য দরখাস্ত করতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া সম্ভব। এমনকি যে কেউ ঐ সমস্ত জব পোর্টালগুলোতে বিনামূল্যে সদস্য হয়ে ব্যক্তিগত তথ্যেও গোপনীয়তা বজায় রেখে--অনলাইনে চাকরির জন্য দরখাস্ত করতে পারে।


আশা করি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।



Md: Minhajul Islam YT


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url