টাইটানিক জাহাজের নতুন ইতিহাস ও ২০২৩ সালের গোপন রহস্য

আসসালামু আলাইকুম ট্রিক স্কাই এর সকল দর্শক এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমি (মিনহাজুল) আছি আপনাদের সাথে।

টাইটানিক জাহাজ নতুন ইতিহাস

চিত্রঃ টাইটানিক জাহাজ


টাইটানিক জাহাজ নিমার্ণ ইতিহাসঃ

টাইটানিক জাহাজ ছিলো পৃথিবীর বৃহত্তম জাহাজ। টাইটানিক জাহাজ ১৯০৯ সালে ৩১ মার্চে প্রথম টাইটানিক জাহাজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। টাইটানিক জাহাজ ব্রিটিশ শিপিং Company, 'হোয়াইট স্টার লাইন' মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জাহাজটির নির্মাণ করার দায়িত্ব নেন। টাইটানিক জাহাজ টি তৈরি করা হয় ইউনাইটেড কিংডম, বেলফাস্টের হারল্যান্ড ওলফ শিপইয়ার্ডে জন পিয়ারপন্ট মরগান নামক একজন আমেরিকান ধনকুব এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেন্টাইল মেরিন কোং-এর অর্থায়নে। জাহাজ টি তৈরি করতে সময় লাগে দীর্ঘ ৪ বছর, ৩১ মার্চ ১৯১২ সালে টাইটানিক জাহাজ সমুদ্রের মাঝে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজ টাইটানিকঃ

আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় ৩,৮০০ মিটার (১২,৫০০ফুট) নিচে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে। টাইটানিক জাহাজ সমুদ্রের তলা দেশে ২ টা অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে আছে, জাহাজ বাকা হয়ে অগ্রভাগ ও যেখান থেকে জাহাজ বাকা হতে শুরু হয়, সেই আংশ এবং জাহাজের পশ্চাদভাগ। জাহাজের দুইটা অংশের দূরত্ব প্রায় ৮০০ মিটার (২,৬০০) ফুট। এই টাইটানিক জাহাজ এর ভেঙে যাওয়া জাহাজটির আশে পাশে প্রচুর ধ্বংসশেষ পড়ে আছে। ২০২২ সালে গ্রীষ্মকালে ম্যাগেলান লিমিটেড নামের একটি ডিপ-সি ম্যাপিং কোম্পানি ও আটলান্টিক প্রোডাকশন্স প্রতিষ্টান যারা এ বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে তারা যৌথভাবে এসব ছবি তুলেছে, টাইটানিক এর। 

১৪ এপ্রিল ১৯১২ তারিখ রাতে নিশ্তব্ধ সমুদ্রের শূন্য ডিগ্রিতে নেমে যায়। আকাশ ছিলো পরিষ্কার ও চাঁদ দেখা যাচ্ছিল না। সামনে ছিলো আইসবার্গ "বিশাল বরফখন্ড" আছে এই মূল সংকেত পেয়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন জাহাজের গতি সামান্য দক্ষিণ দিকে ফিরিয়ে দেন। যে দিন রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছিলো ওই দিন বিকালের দিকে দুইটা ভিন্ন ভিন্ন জাহাজ থেকে রেডি বেতারের মাধ্যমে যোগাযোগ করে টাইটানিক জাহাজ এর সামনে বড় বরফখন্ড আছে, এটা বলে সর্তক্য বার্ত্য পাঠিয়ে সর্তক্য করে দেয়। এখানে আসল কারণ, টাইটানিক জাহাজের যে রেডিও আপারেটর ছিলো তাদের অবহেলার কারণে মূল যোগাযোগ কেন্দ্রে পৌছালো না। রাত ছিলো সেদিন ১১:২০ এর দিকে টাইটানিক সমুদ্র পথ পর্যবেক্ষণকারীরা সরাসরি টাইটানিকের সামনে সেই বরফখন্ড দেখতে পায় কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিলো না। টাইটানিক জাহাজের ১ম অফিসার "মুর্ডক তখন বামে মোড় নেওয়ার সরাসরি অডার দিয়ে দেন, ও জাহাজটিকে পূরো উল্টদিকে তালাতে বলেন বা বন্ধ করে দিতে বলেন। তারপরও শত শত প্রচেষ্টার পরও টাইটানিক জাহাজ বাঁচানো সম্ভাব হয়ে উঠেনী। মোড় যখন নেওয়া হয় তখন ডান দিকের পাথরের সাথে অর্থাৎ  বরফখন্ডের সঙ্গে প্রচণ্ড ঘষা খেয়ে সমুদ্রের অতল গভীরে তলিয়ে যাওয়া শুরু করে

১৯১২ সালে ডুবে যাওয়ার পর তথ্যঃ

টাইটানিক জাহাজটি সমূদ্র হতে প্রায় ১২,৪৮৯ ফুট (৩,৮০০) মিটার নিচে গভীরে নীরবে সমাহিত হয়ে আছে। টাইটানিক জাহাজ টি ইতিহাসে চিরকাল থাকবে। বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণার জন্য এখনও এটার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত পানি ও বরফে আস্তে আস্তে টাইটানিক জাহাজ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। এইভাবে নিয়মিত চলতে থাকলে হয়তো আগামী ৫০ বছরের মধ্যে এই টাইটানিক জাহাজ নিশ্চহ্ন হয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা এটা বলে মনে করেছেন। 

টাইটানিক জাহাজ এর শেষ কিছু কথাঃ 

টাইটানিক জাহাজ সম্পর্কে সবাই কম বেশি আমরা জানি, মানুষের মুখ থেকে শুনে শুনে হয়তো আপনিও এর অনেক তথ্য জেনেছেন। সব থেকে বড় কথা হলো এই টাইটানিক জাহাজ এর ঘটনা অবলম্বন করে একটা মুভি তৈরি করা হয়েছে। এই মুভিটি যদি কেও একটু মনোযোগ দিয়ে দেখেন তাহলে কিছু বিষয় গুলো ধারণা করতে পারবেন। তবে মুভিটি যদিও নায়ক ও নায়িকা প্রেম ভালোবাসা দিয়ে সাজানো হয়েছে তবুও বাস্তবতার সাথে কিছুটা মিল রয়েছে। কারণ যখন টাইটানিক জাহাজ সমুদ্রের দিকে রওনা হয় তখন হাজারো পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছিলো অনেকে তাদের বউ ছেলে পেলেদের বাচানোর চেষ্টা করেছিলো কিন্তু সবাই ব্যার্থ হয়েছিলো। শোনা গিয়েছে অনেকে বেচে গিয়েছে এবং এই ইতিহাস মূলত তারায় করেছে।

আরও পড়ুনঃ Time Machine | Bangla Golpo | Bangla Story - tricksky

আশা করি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Thank You, Please Share Post.


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url