Freelanching Outsourcing And Youtube Marketing Earning
ইউটিউব হচ্ছে একটা ভিডিও শেয়ারিং সাইট এবং পৃথিবীর সকল ভিডিও শেয়ার সাইটের মধ্যে ইউটিউব জনপ্রিয় এবং ইউজার বেশি। ইউটিউবে ভিজিটর অনেক বেশী। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড এবং শেয়ারের মাধ্যমে কোন পণ্যের বা সেবার পরিচিতি ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং। এক কথায়, ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করাকেই ইউটিউব মার্কেটিং বলে। মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে করা যায়।
ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন?
ইউটিউব মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত সফল হওয়া যায় - যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য অনেক সময়ের ব্যপার। খুব দ্রুত পরিচিত হওয়া যায়। কোন প্রোডাক্টের ডিজাইন, ব্যবহারবিধি, দেখতে কেমন বা উৎপাদনকারি , বিভিন্ন তথ্য একজন ক্রেতা ইউটিউব থেকে সহজেই দেখে নিতে পারেন। তারপরই উক্ত ক্রেতা সিদ্ধান্ত নেন প্রোডাক্টটি ক্রয়ের জন্য। ইউটিউব হচ্ছে ক্রেতাদের ঘাটি।
৩. একটি ভাল ক্যামেরা। অথবা মোবাইল ভাল মানের ক্যামেরা।
৪. Wifi And Internet.
৫. ভিডিও এডিটিং এ্যাপস, Kinemaster, Capcat, Go-cat, Powerdirector.
৬. যে টফিক নিয়ে কাজ করবেন। নাটক বা ফানি ভিডিও তাহলে ভাল বন্ধু যারা আপনার সাথে কাজ করবে।
একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন। নিজের সঠিক নাম, বয়স এবং ফোন নম্বর দিয়ে। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করুন। সেখানে ‘Create Channel’ পাবেন। তার মাধ্যমে নিজের চ্যানেল তৈরী করুন। একটা ভালো প্রোফাইল পিকচার অথবা লোগো এবং কভার ফটো অ্যাড করুন। এবং আপনার নিজের ক্যামেরায় তৈরী যে কোনো ফুটেজ আপলোড করুন।
ভিডিও এডিটিং
ভিডিওর ভাল দিক তুলে ধরে ভিডিও এডিটিং আর ভিডিও কোয়ালিটি ও এডিটিং এর ভেতর। সর্ব সময় খেয়াল রাখতে হবে ভিডিও এডিটিং এর উপর। কারণ আপনার ভিডিও এডিটিং ভাল হলে দর্শক আপনার ভিডিওতে ফোকাস দেবে বেশি। আর ভিডিও আরও কিছু দিক তুলে ধরে ভিডিও Thumbnail. আপনার ভিডিওর যদি থ্যাম্বনেল ভাল হয় তবে ভিউয়ারস রা এমনিতেই ক্লিক করে দেখবে। এই কারণেই ভিডিও এডিটিং আর থ্যাম্বনেল ভাল মানের হতে হবে।
ইউটিউব ভিডিও Ranking
ইউটিউব চ্যানেল এবং ইউটিউব ভিডিও আরও বেশী মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারেন এবং তা ভিউয়াররা যেন সহজেই খুজে পায় তার ব্যবস্থা করতে পারেন । সেজন্য দুটি পদ্ধতি হলো-
(১) ইউটিউব চ্যানেল অপটিমাইজেশন
(২)ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন।
অর্থ উপর্জন কীভাবে করা সম্ভব?
ইউটিউব সাধারণত ভিডিও দেখার একটি ওয়েবসাইট। প্রতিনিয়ত এখানে অনেক ভিডিও আপলোড করা হয়। কেউ হয়তো তার বা তার ব্যান্ড এর গানের ভিডিও আপলোড করেন তো কেউ আবার তার কোম্পানির কোন ভিডিও। আবার কেউ আপলোড করেন মজার মজার ফানি ভিডিও তো কেউ শিক্ষণীয় কিছু। ভিডিও দেখার সময় যে বিজ্ঞাপন দেখা যায় সেই বিজ্ঞাপনের জন্যই আসলে ইনকামটি করা সম্ভব। অবশ্যই সব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন থাকে না। যদি কেউ তার চ্যানেল বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অনুমোদন দেয় তবেই বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। আর সেই বিজ্ঞাপন থেকে গুগল এর আয় হওয়া একটি অংশ চ্যানেল এর মালিককে দেয়া হয়। এটি প্রধানত গুগল অ্যাডসেন্স (Google AdSense) এর একটি অংশবিশেষ।
এই প্লাটফর্ম থেকে কত টাকা উপার্জন সম্ভব?
ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ভিউ। যে ভিডিও যত বেশী ভিউ হবে সে ভিডিও তত বেশী অর্থ উপার্জন করবে। তবে মোটামুটি ভাবে প্রতি হাজার ভিউতে ১ থেকে ৫ ডলার অবধি আয় সম্ভব।। অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান অ্যাপ্রুভড হতে দুই থেকে তিন দিন লাগে। একবার অ্যাপ্রুভড হয়ে গেলেই আপনার আয় শুরু। ন্যূনতম ইনকাম ১০০ ডলার হলে আপনার বাড়িতে গুগল থেকে একটি চিঠি আসবে তাতে একটি কোড নম্বর থাকবে সেই কোড নম্বর দিয়ে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিতে হবে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নেম, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নেম, সুইফট কোড ইত্যাদি। আপনার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট-এ আপনার নাম এবং ঠিকানা আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের নামের সাথে মিল থাকতে হবে, নইলে এই টাকা আপনি পাবেন না। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেই নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেখানে যে অ্যাড্রেস দেওয়া আছে সেটাই ব্যবহার করবেন।
যেভাবে শুরু করতে হবেঃ
ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে প্রথমেই ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে হবে। এছাড়া আপনার চ্যানেল ভালোভাবে সাজিয়ে নিতে হবে। যেমন কভার ফটো, চ্যানেল আর্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে চ্যানেলটি প্রফেশনাল ডিজাইনের করে নিতে হবে। চ্যানেলে আপলোড করার জন্য লাগবে ভালো মানের ভিডিও। তবে এখানে কপি করা বা অন্যের ভিডিও আপলোড করা যাবে না। অনুমতিপত্র ব্যতীত কোন ভিডিওতে কোন কপিরাইটেড গান বা দৃশ্য ব্যবহার করা যাবে না। সবসময়ে চ্যানেল অনুযায়ী নির্দিষ্ট টপিক বা বিষয়ের উপরেই ভিডিও তৈরি করতে হবে। প্রতিটি ভিডিওতে আপলোড করার সময় সঠিক নাম (Video Title) এবং প্রয়োজনীয় কীওয়ার্ড (Keyword) যুক্ত করতে হবে। ইউটিউব মনিটাইজেশন হতে হলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার আর ৪০০০ ওয়াচটাইম লাগবে।
এরপর আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যদি আপনার আগে থেকেই অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকে তবে সেই অ্যাকাউন্ট এর সাথে যুক্ত করতে পারেন অথবা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তবে আপনার যদি আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট থাকে তবে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে যাবেন না। এতে আপনার আগের অ্যাকাউন্ট ও বাতিল হয়ে যাবে। সেই সাথে এই চ্যানেল এর ক্ষেত্রেও আপনি অ্যাডসেন্স পাবেন না। মনে রাখবেন একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট অনেকগুলো ইউটিউব অ্যাকাউন্ট বা ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ব্যবহার করা যায়। অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট এর প্রয়োজন নেই।
আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট অ্যাডসেন্স এর সাথে যুক্ত করতে বা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে Account Monetization এ ক্লিক করুন।
আর কখনোই নিজের আপলোড করা ভিডিওতে থাকা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন না। এতে আপনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড বা বাতিল হতে পারে।
ইউটিউব মনিটাইজেশন ভিউ
ধরা যাক আপনার ভিডিওটে যে অ্যাড আসে, সেটা ১ মিনিট-এর মাথায়। এবার আপনার ভিডিওটি ৫০০০ ভিউ হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জন হয়ত আপনার ভিডিও ১ মিনিটের কম দেখেছে। তাহলে ৫ হাজার ভিউ স্বত্তেও আপনার মনেটাইজ ভিউ হবে মাত্র ২ হাজার। মনেটাইজ ভিউ কত হয়েছে সেটা একমাত্র যার অ্যাকাউন্ট সেই দেখতে পারবে ‘Analytics’-এ ক্লিক করে। ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর আগে বেশ কয়েকটি ভিডিও আপলোড করে নিতে হবে এবং সেই সাথে সেই ভিডিও শেয়ার করে বেশ কিছু ভিজিটরও কালেক্ট করে নিতে হবে। অর্থাৎ বেশ কয়েকজন যেন অবশ্যই ভিডিওগুলো দেখে থাকে। তরপর Monetization চালু করে নিতে হবে। Monetization Enable হয়ে গেলে অ্যাক্টিভেশন ইমেইল এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার ভিতর ইমেইল চলে আসবে।
আরো বাকি অংশ দ্বিতীয় পর্বে দেওয়া হবে।
আশা করি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।